সিলেট টেস্ট: ব্যাটিং ব্যর্থতা, ১৪৩ রানেই শেষ বাংলাদেশ

সিলেট এক্সপ্রেস ডেস্ক : ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সিলেট টেস্টে চরম বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের ২৮২ রান টপকানোর লক্ষ্যে দৌড়াতে গিয়ে ১৪৩ রানেই অলআউট হয়ে গেছেন মুমিনুলরা! দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ১৩৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ে কালকের ২৩৬ রানের সাথে আজ আরো ৪৬ রান তুলে ইনিংসকে ২৮২ রানে নিয়ে যায়। ৩০০ রানের মধ্যে জিম্বাবুয়েকে আটকে রাখার আত্মতৃপ্তি নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এর পরের গল্পটা হুড়মুড়িয়ে ধরে পড়ার! যে ধস হয়তো কল্পনাও করেনি বাংলাদেশ। পঞ্চাশ রানের ভেতরেই পাঁচ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ছিল ফলোঅনের শঙ্কায়ও!
জিম্বাবুয়ের দুই পেসার কাইল জার্ভিস (২) আর চাতারা (৩) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভাগাভাগি করেছেন ৫ উইকেট। সিকান্দার রাজা ৩টি আর শেন উইলিয়ামনের ঝুলিতে গেছে একটি উইকেট। শেষ উইকেটে রাহী হয়েছেন রান আউট।
ওয়ানডে সিরিজ দুর্দান্ত কাটানো ইমরুল টেস্টে এসে শুরু থেকেই নড়বড়ে। চাতারার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল টেনে স্ট্যাম্পে টেনে এনে ইনসাইড এজ হয়ে ফিরে যান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান (৫ রান)।
খানিক পরে ইমরুলের দেখানো পথ ধরেন লিটন দাসও। কাইল জার্ভিসের দারুণ এক বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন লিটন (৯)।
পাঁচ বল পর চাতারার বলে কাটা পড়েন নাজমুল হোসাইন শান্ত (৫)। তার ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় উইকেরক্ষকের হাতে। আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে উল্লাস করে জিম্বাবুয়াইনরা।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এলেন। এক বল পর ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন তিনিও (০)। শিকারির নাম চাতারা। ১৯ রানেই চার উইকেট শেষ!
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের মধ্যে মুমিনুল হকের অবস্থান ষষ্ঠ। সেই মুমিনুল উইকেটে থিতু হতে হতে সিকান্দার রাজার বলে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ১১ রান করে।
৪৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে বাংলাদেশ। সেই বিপদ আরো বাড়লো ৭৮ রানে; মুশফিক ৩১ রান করে জার্ভিসের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যাওয়ায়।
দলকে উদ্ধারের চেষ্টায় জুটি বাঁধলেন আরিফুল হক আর মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৮ রান করে সে জুটিও বিচ্ছিন্ন হলো মিরাজের আউটে। জুটি ভাঙতেই পার্টটাইমার শেন উইলিয়ামসনের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই মিরাজকে (২১) নিজের হাতেই ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান উইলিয়ামসন।
এরপর তাইজুল, অপু আর রাহীরা এলেন আর গেলেন। নিঃসঙ্গ শেরপা হয়ে ৪১ রানে অপরাজিত থাকলেন অভিষিক্ত আরিফুল হক।