সিলেটে হালকা থেকে মাঝারী শীত অনুভূত

অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে এসে সিলেটে হালকা থেকে মাঝারী শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলা গরম থাকলেও রাতে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। ভোরের দিকে শহরের গাছপালা, সবুজঘাসে শিশির জমে। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, পুরোপুরি শীতের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আর কয়েকটি দিন পরই পৌষ মাস। তার আগে অগ্রহায়ণের শেষের দিকে এসে শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। এখন প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে শীত অনুভূত হয়। এ সময় হালকা কখনো ভারী বাতাস বইতে শুরু করে। তখন শরীরে এক ধরণের কাঁপন অনুভূত হয়। এই শীতে অনেকে গরম কাপড় পড়ছেন। কেউ আগাম কিনে রাখছেন শীতের কাপড়। ভারী শীত পড়লে শীতের পোশাকের কেনাকাটা বাড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। একইভাবে লেপ তোষকের দোকানীরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গতকাল শুক্রবার বন্দর বাজারে শীতের পোশাক কিনতে আসা মাছুদিঘীর পাড় এলাকার বাসিন্দা জাফর খান জানান, অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে এসে শীত টের পাচ্ছি। সন্ধ্যার পরই হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সকালে শুধু শার্ট পড়ে ঘর থেকে বের হওয়া যায়না। একই অবস্থা অনুভূত হয় সন্ধ্যার পর। রায়নগর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, দিনের বেলা রোদের উত্তাপ থাকে বেশী। এ জন্য গরম অনুভূত হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর চিত্র পাল্টে যায়। বাসা-বাড়িতে দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। এদিকে, রাত বাড়ার সাথে বাড়তে থাকে শীতের পরিমাণও। তারপর ভোরের দিকে শহরের সর্বত্র হালকা কুয়াশা পড়তেও দেখা যায়। এজন্য সকালে সূর্যের আলো উষ্ণতা বয়ে আনে।
অপরদিকে, কিছুদিন ধরে শহরের অনেক ব্যস্ততম সড়কে, ফুটপাতে শীতের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসছেন দোকানিরা। ভাপা আর চিতই পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। চিতই পিঠার সাথে সরিষা আর শুঁটকির ভর্তাও দেয়া হচ্ছে। শহরের সবগুলো কাঁচাবাজারে শিম, ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, শালগম, লাউ, মূলাসহ শীতের নানা ধরণের শাকের পসরা বসেছে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে এখন পুরোপুরি শীতের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। অবশ্য ডিসেম্বরের শেষের দিকে শীত বাড়বে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এবার শীতের তীব্রতা কেমন হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। হিমালয় অঞ্চল থেকে আগত শীতল বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ বায়ু সর্বপ্রথম উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে বলে দেশের উত্তর দিকে সবার আগে শীতের তীব্রতা দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেশে মূলতঃ ডিসেম্বর মাসে শীত বেশি অনুভূত হয়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের আমেজ থাকে। সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল শুক্রবার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিলো ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।