সিলেটে আইসোলেশন সেন্টারে মৃত যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী করোনা আক্রান্ত ছিলেন না

সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল (সদর হাসপাতাল)-এর আইসোলেশন সেন্টারের কোয়ারেন্টাইনে মৃত্যুবরণকারী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মহিলা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: হিমাংশু লাল রায় সিলেট এক্সপ্রেসকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,করোনাভাইরাস সনাক্তকরনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর-এর পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে- তার শরীরে করোনাভাইরাসের আক্রমণ ছিলো না । গত রবিবার (২২ মার্চ) সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে মৃত্যুবরণকারী যুক্তরাজ্যফেরত ওই নারীর মুখের লালাসহ অন্যান্য স্যাম্পল সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ঢাকা থেকে আগত আইইডিসিআর টিম। লালা সংগ্রহ করে পরিক্ষার পর মঙ্গলবার দুপুরে আইইডিসিআর থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে এমন তথ্য জানা গেছে। তিনি জানান, সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে বর্তমানে দুই জন পুরুষ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এখান থেকে সোমবার তিনজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
রবিবার ভোর ৪টায় হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের কোয়ারেন্টাইনে থাকা ওই মহিলার মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী তাকে নগরীর মানিকপীর (র.) কবরস্থানে দাফন করা হয়। মহিলার মৃত্যুর পর তার যুক্তরাজ্য প্রবাসী স্বামী ও দুই স্বজন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
মৃত্যুবরণকারী মহিলা মানচেস্টার আওয়ামী লীগের সভাপতি, গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইন ইউকে’র নর্থ-ওয়েস্ট রিজিয়নের উপদেষ্টা ও মানচেস্টার শাহজালাল মস্ক এন্ড ইসলামিক সেন্টারের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সুরাবুর রহমানের সহধর্মিণী এবং মানচেস্টার সিটি কাউন্সিলের লিড মেম্বার কাউন্সিলর লুৎফুর রহমানের মাতা। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, ২ পুত্র, ২ কন্যা, নাতি-নাতনি এবং আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।