গোয়াইনঘাটে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী ও শ্বশুর আটক

গোয়াইনঘাট (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গোয়াইনঘাটে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই গৃহবধু রাজনা বেগম উপজলা সদরস্থ গোয়াইনগ্রামের হারুনুর রশিদের মেয়ে ও লুনি গ্রামের সুহেল মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাজনার স্বামী সুহেল মিয়া ও শশুর সালেহ উদ্দিনকে আটক করে এবং রোববার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের গোয়াইন গ্রামের হারুনুর রশিদ’র মেয়ে রাজনা বেগম (১৯)’র প্রায় ২মাস পুর্বে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের লুনি গ্রামের সালেহ আহমদ (সালই)’র পুত্র সুহেল আহমদের সাথে। পারিবারিক সুত্রে জানা যায় বিয়ের পর থেকে সুহেল ও তার পরিবারের লোকজন রাজনা বেগমের উপর নির্যাতন করে আসছে। শনিবার ভোর ৬টায় রাজনা বেগম তার পিতা মাতার সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ করে জানায় তার স্বামীর পরিবারের লোকজন তাকে কৃষি জমিতে চাষা বাদের জন্য যেতে বলে। কিছুক্ষন পর সকাল ৮টার দিকে রাজনা বেগমের পিতার কাছে ফোন আসে সে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে নিহত রাজনা বেগমের লাশ উদ্ধার করেন। নিহত রাজনা বেগমের মা সংবাদ কর্মীদের বলেন, যে কক্ষের মধ্যে আমার মেয়েকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সে কক্ষের আড়া থেকে নিচের খাটের দুরত্ব আমার মেয়ের উচ্চতার সমান। কোন ভাবে এ আড়ার সাথে রশ্মি বেধে আমার মেয়ের মৃত্যু হতে পারেনা। তার পরিবার পরিজন তাকে বেধড়ক নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর গলায় রশ্মি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে বেধে রাখে। আমরা লাশ উদ্ধারের সময় আমার মেয়ের পা নিচের খাটের উপর দাড় করানো ছিলো। এব্যাপরে রাজনা বেগমের মা ছয়দুন নেছা বাদী হয়ে লোনি গ্রামের সালেহ উদ্দিনের পুত্র সুহেল মিয়াকে প্রধান আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেছেন। যাহার নংঃ-২৮(২১)০৭(১৮)ইং। এ ব্যপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল জলিল জানান,গৃহবধূ রাজনা বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে অফিসার তদন্ত হিল্লোল রায় ও এসআই জুনায়েদ আহমদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়। পরে নিহত রাজনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য রাজনা বেগমের লাশ সিওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজনা বেগমের মাতা ছয়দুন নেছার লিখিত এজহারের প্রেক্ষিতে থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা রুজু করা হয়েছে এবং এজহারনামিও দুইজনকে পুলিশ আটক করেছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত নিহত রাজনা বেগমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতালে রয়েছে।