‘কথা বলতে পারছেন ওবায়দুল কাদের’

সিলেট এক্সপ্রেস ডেস্ক : সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হৃদযন্ত্র স্বাভাবিক হয়েছে। তার হৃদযন্ত্রে স্থাপিত আইওবিপি মেশিনও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কৃত্রিম সাপোর্ট ছাড়াই তার হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। তার শরীরের ইনফেকশনও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফলে তিনি কথা বলতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. ফিলিপ কোহ। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে মেডিকেল বোর্ড প্রধান ডা. ফিলিপ কোহ’কে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ও নিওরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. আবু নাসার রিজভী।
পরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কাদেরের চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. রিজভী বলেন, কাদেরের কিডনি আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে। ঘুমের ওষুধের পরিমাণও কমিয়ে আনা হয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ইনফেকশন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং কাদেরের শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি হয়েছে।
এর আগে দুপুরে তৃতীয় দিনের মতো ব্রিফ করেন ডা. ফিলিপ কোহ। এতে উপস্থিত ছিলেন কাদেরের সহধর্মিণী বেগম ইসরাতুন্নেসা কাদের, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান ও ডা. আবু নাসার রিজভী।
পরে ডা. রিজভী হাসপাতালের লবিতে সমবেতদের চিকিৎসা বিষয়ক অগ্রগতি অবহিত করেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ডা. ফিলিপ আবার ব্রিফ করবেন বলে ডা. রিজভী জানান।
প্রসঙ্গত, রোববার (৩ মার্চ) সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। চিকিৎসকরা জানান, ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একটিতে রিং পরানো হয়।
ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসা দিতে ওইদিন রাতেই ঢাকায় পৌঁছে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। ওই দলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, একজন সহকারী ও দুজন নার্স ছিলেন। পরদিন সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান উপমহাদেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি।
বিএসএমএমইউতে পৌঁছেই সেতুমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। পরে তিনিসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সে পরামর্শ অনুযায়ী সেতুমন্ত্রীকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।