ঈদুল ফেতরে শ্যালকের স্পেশাল গিফট

তাইসির মাহমুদ : নাঈমুল করিম। আমার ছোট শ্যালক। বছর চৌদ্দ আগে যখন স্ত্রীকে কনে দেখতে যাই তখন নাঈম এর বয়স ছিলো আট । কনে দেখার চিরায়ত প্রথা হিসেবে নাঈমকে সেদিন বোনের পাশে বসে প্রায় আধঘণ্টা গার্ডের ভুমিকা পালন করতে হয়েছিলো । আজ সে বাইশ বছরের টগবগে যুবক । গ্রাজুয়েশন করার পাশাপাশি লন্ডনের একটি টেসকো সুপার স্টোরে পার্টটাইম কাজ করছে।
নাঈম অনেক বড় হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে সবসময়ই মনে হতো শৈশবে দেখা সেই ছোট্ট কিশোর । কিন্তু আজ ঈদুল ফেতরে তাঁর পাঠানো একটি গিফট পেয়ে বুঝতে পারলাম আমার ধারণা ঠিক নয়; সে তো শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য পেরিয়ে পাক্কা সমজদার যুবক। একটি মগের চতুষ্পার্শ্বে বোন, দুলা ভাই, ভাগিনা ভাগিনী পুরো পরিবারের ছবি প্রিন্ট করে উপহার তৈরি করেছে। অফকোর্স, ভেরি থটফুল গিফট।
বিশেষ গিফটিটি পেয়ে নাঈমকে ফোন দিলাম। বললাম, তোমার জন্য একটি বেস্ট গিফট অপেক্ষা করছে। কৌতুহলী নাঈম জানতে চাইলো, ‘হোয়োট ইজ দ্যা গিফট দুলা ভাই’? বললাম, লন্ডনের সবচেয়ে সুন্দরী কনের সন্ধান শুরু করছি । কিন্ত আমার এই কথায় তাঁর মনে তেমন কোনো শিহরণ জেগেছে বলে মনে হলো না।
নাঈম বললো- দুলা ভাই, আমাকে পছন্দ করেন এমন মেয়েদের তালিকা অনেক লম্বা। সুতরাং আপনাকে ‘ছাত্তি লাঠি’ নিয়ে পাত্রীর সন্ধানে বেরুতে হবে না। বরযাত্রী হয়ে গেলেই বরং খুশি থাকবো ।
নাঈমের জবাব শুনে আমি তো লা-জওয়াব। আমি এখন নিধিরাম সর্দারের মতো নাঈমের বরযাত্রী হওয়ার অপেক্ষায় আছি । তবে নাঈমের প্রতি প্রাণখোলা ভালোবাসা, শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।
তাইসির মাহমুদ।
ডেগেনহ্যাম, পূর্ব লন্ডন ।
রোববার, চব্বিশ মে, ২০২০।
ঈদুল ফেতর।